Wellcome to National Portal

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নেত্রকোণা জেলার ১৫৭ নেত্রকোণা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা), ১৫৮ নেত্রকোণা-২ (সদর-বারহাট্টা), ১৫৯ নেত্রকোণা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া), ১৬০ নেত্রকণা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) এবং ১৬১ নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) নির্বাচনী এলাকায় আগামী ০৭ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখ রবিবার সকাল ০৮.০০ ঘটিকা থেকে বিকাল ০৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ  করা হবে। (জেলা প্রশাসক, নেত্রকোণা ও রিটার্নিং অফিসার, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন)

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

(১) জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার :(১৯০০- ১৯৭০ খ্রীঃ)। বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর গ্রামে জ্ঞানচন্দ্র মজুমদারের জন্ম। ঢাকা কলেজে অধ্যায়ন কালে তিনি অনুশীলন সমিতিতে যোগদান করেন। পরে জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার সে দলের শীর্যস্থানীয় নেতাদের একজন হয়ে ছিলেন। জীবনের বহু বছর রাজনৈতিক কারণে কারা জীবন যাপন করেন। তিনি অল ইন্ডিয়া কংগ্রেসের সদস্য এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিত্ব ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ময়মনসিংহ জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। ১৯৪০ সালে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।

(২) ইনাম উদ্দিন :(১৩০৩ চৈত্র ১৩৭১ বঙ্গাব্দ)। বারহাট্টা উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামে ইনাম উদ্দিনের জন্ম। তিনি নেত্রকোণা দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন, ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে আই.এ. এবং বি.এ (১৩২৮ বং) পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে নেত্রকোণা বারে যোগদান করেন, পাশাপাশি মুসলিমলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন তিনি নেত্রকোণা মহুকুমা মুসলিমলীগের সম্পাদক ছিলেন। পাকিস্তান আন্দোলনে তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। নেত্রকোণা কো-অপারেটিভ ব্যাংক ও মালটিপারপাস সোসাইটির তিনি দীর্ঘদিন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ময়মনসিংহ জেলা বোর্ডের নির্বাচিত সদস্য, ভাইস- চেয়ারম্যান, ও কিছুদিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুপূর্বে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করেছিলেন।

(৩) আলী উছমান সিদ্দিকী : বারহাট্টা উপজেলার ডেমুরা গ্রামে আলী উছমান  সিদ্দিকী জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৩৭ সালে বারহাট্টা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। নেত্রকোণায় ছাপাখানা ব্যবসায় খ্যাতি লাভ করেন। তার প্রতিষ্ঠিত সিদ্দিক প্রেস নেত্রকোণা তথা দেশের খ্যাতিমান লেখকদের আড্ডায় পরিণত হয়েছিল। নেত্রকোণা থেকে প্রকাশিত পাকি উত্তর আকাশ পত্রিকা প্রকাশে তার বিশেষ অবদান ছিল। তিনি একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৫৭ সালে তিনি নেত্রকোণা সাধারণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আলী উছমান সিদ্দিকী ১৯৬৩ সালে নেত্রকোণা টাউন কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন।

(৪) ড. ইন্নাস আলী :বারহাট্টা উপজেলার বিক্রমশ্রী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন ডক্টর ইন্নাস আলী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ১৯৪৮সালে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে তিনি প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং সায়ন্স ফ্যাকাল্টির প্রধান হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে যোগদেন।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশনে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। বহু আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

(৫) ড. সফর আলী আকন্দ :বারহাট্টা উপজেলার তেলিকুড়ি গ্রামে ডক্টর সফর আলী আকন্দের জন্ম। বিদ্যালয় জীবন থেকেই তিনি একজন ভাল ছাত্র হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে অনার্স মাস্টার্সে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এম.এ এবং পি এইচ ডি অর্জন করেন।

ড. সফর আলী আকন্দ কর্মজীবন শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। কিছুদিন তিনি আইবিএস এর পরিচলাক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৫ সাল পযর্ন্ত আবার তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি অধ্যাপনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বহুদেশে ভ্রমন করেন। এবং বিভিন্ন সেমিনার সিষ্পোজিয়ামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

(৬) আজিজুল ইসলাম খান : ১৫ কার্তিক ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে বারহাট্টা উপজেলার যশমাধব গ্রামে রাজনীতিক আজিজুল ইসলাম খান এর জন্ম। বারহাট্টা করোনেশন কৃষ্ণ প্রসাদ ইনস্টিটিউশন থেকে মেট্রিকুলেশন। ১৯৫০ সালে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন।

তিনি ১৯৪৪ সালেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে ছিলেন। সে সময় থেকেই তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছিলেন। ৫২ ভাষা আন্দোলনে তিনি নেত্রকোণায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে নব গঠিত আওয়ামী মুসলিমলীগে যোগদেন। দীর্ঘদিন আওয়ামী মুসলিমলীগ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেন। রাজনীতির জন্য কারাবরণ করেন। নীতিগত কারনে আওয়ামীলীগ ত্যাগ করে ১৯৫৭ সালে নিখিল পাকিস্তান গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলনের প্রস্তুতি কাজে আত্মনিয়োগ করেন। নেত্রকোণা মহুকুমা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির যুগ্ম সম্পাদক এবং ময়মনসিংহ জেলা ন্যাপের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে আজিজুল ইসলাম খানের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে আত্মগোপন করেন। ১৯৬২ সালে সাময়িক শাসন বিরোধী মিছিল করার অপরাধে  গ্রেফতার হয়ে ৬ মাস কারাবাস করেন।

১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার বিরোদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়। দীর্ঘদিন তিনি ফেরারী জীবন যাপন করেন।

১৯৭৮ সালে আজিজুল ইসলাম খান ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি নির্বাচিত হন। ন্যাপ বিভক্ত হয়ে গেলে তিনি হারুন- পঙ্কজ ন্যাপের সহ- সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৮৩ সালে ড. কামাল হোসেনের বাসায় ১৫ দলের সভা করতে যেয়ে অন্যদের সঙ্গে তিনিও গ্রেফতার হন। ১৯৮৯ সালে ঐক্য ন্যাপ বা এনএপি সম্মেলনে আজিজুল ইসলাম খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। ১৯৯০ সালে এনত্রপির নাম পাল্টিয়ে প্রজাতন্ত্রী পাটি ও অন্যান্য ন্যাপ সহযোগে গনতন্ত্রী পার্টি গঠিত হয়। সে গণতন্ত্রী পার্টির তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।

পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, সাধারণ সম্পাদক, কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আহমদুল কবিরের মৃত্যুর পর আজিজুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

(৭) অধ্যাপক আনিসুর রহমান :বারহাট্টা উপজেলার চল্লিশকাহনীয়া গ্রামে অধ্যাপক আনিসুর রহমানের জন্ম। ১৯৫৯ সালে মেট্রিকুলেশন, অর্থনীতিতে অনার্স এবং মাস্টার্স করেন যথাক্রমে ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে । ১৯৬৬ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজে ছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ মুমিননেচ্ছা কলেজে উপাধ্যরে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ থেকে ২০০২ সাল পযর্ন্ত অধ্যাপক আনিসুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০২ সালে তিনি ঢাকা কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে অবসর নেন। ২০০৪ সালে তিনি কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।

(৮) নির্মলেন্দু গুণ :বারহাট্টা উপজেলার কাশতলা গ্রামে ২১ জুন ১৯৪৫ সালে কবি নির্মলেন্দু গুণ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬২ সালে মেট্রিকুলেশন , ১৯৬৪ সালে আই. এস-সি, ১৯৬৯ সালে বি.এ পাশ করেন।

সাংবাদিক হিসেবে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। দেশে শীর্ষস্থানীয় অধিকাংশ পত্রিকাতেই তিনি সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নেত্রকোণা থেকে প্রকাশিত উত্তর আকাশ পত্রিকায় তার সর্বপ্রথম কবিতা মুদ্রিত হয়। পর থেকে দ্রুতগতিতে তিনি এগোতে থাকেন। অসংখ্য কাব্যগ্রন্থ তাঁর বাজারে এসেছে। বর্তমানে দেশের প্রধান কবিদের মাঝে তিনি অন্যতম।

১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের শব্দ সৈনিক হিসেবে তিনি যোগদিয়ে ছিলেন।

(৯) মোহিনী মোহন গুণ :বারহাট্টা উপজেলার ব্রিকালিখা গ্রামে মোহনী মোহন গুন জন্ম গ্রহণ করেন। তৎকালীন সময়ে মোহিনী মোহন গুন ছিলেন বারহাট্টা থানার অন্যতম জোতদার। তিনি বারহাট্টা সদরে তাঁর বাবা কৃষ্ণ প্রসাদ গুণের নামানুসারে একটি বিদ্যাপীট গড়ে তোলেন। সে বিদ্যাপীট টি এখনো বারহাট্টা করোনেশন কৃষ্ণ প্রসাদ ইনস্টিটিউট সংক্ষেপে বারহাট্টা সি.কে.পি উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিত। তিনি বারহাট্টা বাজার ও খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠার জন্য জমিদান করেছিলেন। এছাড়া তিনি অনেক জনহিতকর কাজ করে গেছেন।

(১০) নূরুল হোসেন খন্দকার :বারহাট্টা উপজেলার গোরল গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন লেখক ও রাজনীতিবিদ নুরুল হোসেন খন্দকার। তিনি শাহা সুলতান রুমী(রহঃ), নাস্তিকতাবাদ ও নৈতিকতা নামে দু’টি গ্রন্থ রচনা করেন। গ্রন্থ দুটি বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রকাশ করেছে। তিনি দীর্ঘদিন বারহাট্টা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।

(১১)নূরুজ্জামান শেখ :বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে নুরুজ্জামান শেখ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক ও গীতিকার ছিলেন। তাঁর অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে। যেমন- এই দুনিয়া এখনতো আর সেই দুনিয়া নয়, মানুষ নামের মানুষ আছে দুনিয়া বুঝাই। তিনি ২০০৫ সালে মারাযান।

(১২)  ডাঃ সিরাজুল ইসলাম :বারহাট্টা জন্মগ্রহণ করেন ডাঃ সিরাজুল ইসলাম। তিনি কুমিল্লা মেডিক্যাল স্কুল থেকে এল.এম.এফ পাশ করেন। ডাঃ সিরাজুল ইসলাম সরকারী চাকুরী গ্রহন না করে বারহাট্টার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা মনোনীবেশ করে ছিলেন। তিনি বারহাট্টা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। ডাঃ সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘ ১০ বছর বারহাট্টা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০০৩ সালের ২০ মে মারা যান।

(১৩) আব্দুল হাননান ঠাকুর :বারহাট্টা উপজেলার মোহনপুর গ্রামে ১৯৪২ সালে অব্দুল হাননান ঠাকুরের জন্ম । ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ ডিগ্রী গ্রহন করেন। কিছুদিন ঈশ্বরগঞ্জ কলেজে অধ্যাপনা করেন। পরে বাংলা একাডেমীতে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বেশ ক’টি গ্রন্থ প্রণয়ন ও সম্পাদনা করেছেন।

(১৪)  আব্দুল মোত্তালিব খান পাঠান :বারহাট্টা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে আব্দুল মোত্তালিব খান পাঠানের জন্ম । তিনি ১৯৭০-৭১ সালে বারহাট্টা থানা  ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭২- ৭৮ সালে বারহাট্রা থানা জাসদ এর সভাপতি এবং ১৯৭৮- ৭৯ সালে নেত্রকোণা জেলা জাসদ এর সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আব্দুল মোত্তালিব খান পাঠান অনেক জনহিতকর কাজ করেছেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ২৫ নবেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেত্রকোণা জেল থানায় আটক ছিলেন।

লিখেছেন: আলী আহাম্মদ খান আইয়োব।